মঙ্গলবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৬

পুবাইলে শিক্ষককে মারধরের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, পুলিশ-শিক্ষার্থী সংঘর্ষ



এবিসি নিউজ
জয়দেবপুর, গাজীপুর

পুবাইলে স্কুল শিক্ষককে মারধরের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল, সড়ক অবরোধ ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

এ সময় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিপেটা করেন। পুলিশের লাঠিপেটা ও সংঘর্ষে দুই পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার সকালে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের পুবাইলে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ওই স্কুলটি দুইদিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

এদিকে শিক্ষককে মারধরকারী অভিভাবক পলাশ পিরিচকে আটক করেছেন পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, হারবাইদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজির শিক্ষক আবু বকর পরীক্ষার ফল খারাপ করায় নবম শ্রেণির ছাত্র পলব পিরিচকে চড়-থাপ্পর দিয়ে শাষন করেন। এর জেরে গতকাল সোমবার দুপুরে ওই ছাত্রের বাবা পলাশ পিরিচ আবু বকরকে মারধর করেন।

শিক্ষককে মারধরের ঘটনায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা মঙ্গলবার সকালে ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ মিছিল করতে থাকেন। তারা মিছিল নিয়ে টঙ্গী-ঘোড়াশাল সড়কে ওঠতে গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ছাত্রদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠিপেটা করেন। এতে আহত হয় অন্তত ২৮ জন শিক্ষার্থী।

উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা পুলিশ এবং পুলিশের গাড়িসহ তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করেন এবং কিছুক্ষণ টঙ্গী-ঘোড়াশাল সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় পূবাইল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই  মো. মোবারক হোসেনসহ দুই পুলিশ আহত হন।

জয়দেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার মো. রেজাউল হাসান রেজা জানান, শিক্ষার্থীরা সকাল ১০টার দিকে টঙ্গী-ঘোড়াশাল সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন এবং যানবাহন ভাঙচুর শুরু করেন। এতে ওই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়লে পুলিশ তাদের সড়ক থেকে সরে যেতে বলেন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা তা না শুনে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকেন।

এ সময় পুবাইল ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক মো. মোবারক হোসেনসহ দুই পুলিশ সদস্য আহত হলে বিক্ষোভকারীদের লাঠিপেটা ও ধাওয়া করা হয়। শিক্ষকের ওপর হামলাকারী অভিভাবক পলাশকে মঙ্গলবার সকালে আটক করা হয়েছে।

অধ্যক্ষ মারফত আলী দেওয়ানের বরাত দিয়ে তিনি জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য মঙ্গলবার থেকে স্কুলের সকল ক্লাস দুইদিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট লিংকঃ