আহসান উল্লাহ মাস্টার লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
আহসান উল্লাহ মাস্টার লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

রবিবার, ১৭ জুলাই, ২০১৬

আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলায় হাইকোর্ট বিভাগের রায় আপিল বিভাগে বহাল রাখার প্রতিবাদে বিক্ষোভ


এবিসি নিউজ
টঙ্গী, গাজীপুর

আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলায় বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রায় আপিল বিভাগে বহাল রাখার প্রতিবাদে রবিবার দুপুরে টঙ্গীতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

সাবেক সংসদ সদস্য ও শ্রমিক নেতা আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলায় ১১ জনের খালাসের রায় বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগে বহাল রাখার প্রতিবাদে রবিবার দুপুরে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। দুপুর দেড়টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন বিক্ষোভকারীরা।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, হাইকোর্ট বিভাগের আদেশ আপিল বিভাগ কর্তৃক ‘নো-অর্ডার’ রায় ঘোষণার প্রতিবাদে দুপুর দেড়টার দিকে টঙ্গী থানা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ স্থানীয়রা টঙ্গীর স্টেশন রোড, মিল গেইট, কলেজগেট এবং চেরাগআলী এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ ও অবরোধ করেন। এসময় তারা রাস্তায় বসে ও শুয়ে রায়ের প্রতিবাদে স্লোগান দেন। 

২০০৪ সালের ৭ মে টঙ্গীর নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে বক্তব্য দেয়ার সময় সন্ত্রাসীরা জনপ্রিয় নেতা আহসান উল্লাহ মাস্টারকে গুলি করে হত্যা করেন ।

আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলা : শেষ পর্যন্ত ১১ জনকে খালাসের রায় বহাল


এবিসি নিউজ
গাজীপুর

গাজীপুরের জনপ্রিয় শ্রমিক নেতা ও আওয়ামী লীগ সাবেক সাংসদ আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলায় বাংলাদেশ  সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের দেওয়া ১১ আসামিকে খালাসের রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। ওই রায়ের বিরুদ্ধে করা রাষ্ট্রপক্ষের আপিল আবেদনের নিষ্পত্তি করে রবিবার এ আদেশ দেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ। 

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আসামিপক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও খন্দকার মাহবুব হোসেন। হাইকোর্টের রায় বহাল থাকায় ওই ১১ আসামির মুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।

হাইকোর্টের রায়ে খালাস পাওয়া ১১ আসামি হলেন আমির হোসেন, জাহাঙ্গীর ওরফে বড় জাহাঙ্গীর, ফয়সাল (পলাতক), লোকমান হোসেন ওরফে বুলু, রনি মিয়া ওরফে রনি ফকির (পলাতক), খোকন (পলাতক), দুলাল মিয়া, রাকিব উদ্দিন সরকার ওরফে পাপ্পু, আইয়ুব আলী, জাহাঙ্গীর (পিতা মেহের আলী) ও মনির।

গত ১৫ জুন আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায়ে ১১ জনকে খালাস দেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ। রায়ে বিচারিক আদালতের দেওয়া বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম সরকারসহ অন্য ছয়জনের ফাঁসির আদেশ বহাল রাখেন উচ্চ আদালত। বিচারিক আদালতে দণ্ড পাওয়া জীবিত ২৬ আসামির মধ্যে আটজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। আগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত একজন পলাতক থাকায় তার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি আদালত।  

রায়ের ১১ জনকে খালাস দেওয়ার অংশের বিরুদ্ধে গত ২০ জুন আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল করেন রাষ্ট্রপক্ষ। গত ২১ জুন শুনানি শেষে রায় স্থগিত করে আবেদনটি পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদালত। গত বৃহস্পতিবার রায়ের স্থগিতাদেশ রবিবার পর্যন্ত বৃদ্ধি করেন আপিল বিভাগ। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আটজনের মধ্যে সাতজনকে বিচারিক আদালতের দেওয়া ফাঁসির সাজা কমেছে এবং বাকি একজনের আগের সাজাই বহাল রয়েছে। মারা যাওয়া দুই আসামির আপিলের নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন আদালত। আর মামলাটির মোট ৩০ আসামির মধ্যে দুজন বিচারিক আদালতেই খালাস পেয়েছিলেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৪ সালের ৭ মে গাজীপুরের টঙ্গীর নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় আহসান উল্লাহ মাস্টারকে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়। তার সঙ্গে খুন হন ওমর ফারুক রতন নামে আরেকজন।

মুক্তিযোদ্ধা, আহসান উল্লাহ মাস্টার ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে টঙ্গী থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর আগে তিনি গাজীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন।

জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি আহসান উল্লাহ মাস্টারের মৃত্যুর পর এখন তার ছেলে জাহিদ আহসান রাসেল ওই আসনের সংসদ সদস্য।

হত্যাকাণ্ডের পরদিন নিহতের ভাই মতিউর রহমান টঙ্গী থানায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ১০-১২ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।

মামলাটির তদন্ত শেষে একই বছরের ১০ জুলাই ৩০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। একই বছরের ২৮ অক্টোবর ৩০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ৩৪ জন এবং আসামিপক্ষে দুজন সাক্ষ্য দেন।

এই মামলায় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন ২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম সরকারসহ ২২ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং ছয় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। খালাস পান অন্য দুজন।

বৃহস্পতিবার, ১৪ জুলাই, ২০১৬

আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলা : ১১ জনকে খালাসের রায়ের স্থগিতাদেশ বাড়ল


এবিসি নিউজ
গাজীপুর

গাজীপুরের জনপ্রিয় শ্রমিক নেতা ও আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলায় হাইকোর্টের ১১ আসামিকে খালাস দেওয়ার রায়ের স্থগিতাদেশ আগামী রবিবার পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে করা রাষ্ট্রপক্ষের আপিল আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আসামিপক্ষে ছিলেন খন্দকার মাহবুব হোসেন। 

গত ১৫ জুন আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল মামলার রায়ে ১১ জনকে খালাস দেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ। রায়ে বিচারিক আদালতের দেওয়া বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম সরকারসহ অন্য ছয়জনের ফাঁসির আদেশ বহাল রাখেন উচ্চ আদালত। বিচারিক আদালতে দণ্ড পাওয়া জীবিত ২৬ আসামির মধ্যে আটজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। আগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত একজন পলাতক থাকায় তার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি আদালত।

রায়ের ১১ জনকে খালাস দেওয়ার অংশের বিরুদ্ধে সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল করেন রাষ্ট্রপক্ষ। গত ২১ জুন শুনানি শেষে রায় স্থগিত করে আবেদনটি পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদালত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আটজনের মধ্যে সাতজনকে বিচারিক আদালতের দেওয়া ফাঁসির সাজা কমেছে এবং বাকি একজনের আগের সাজাই বহাল রয়েছে। মারা যাওয়া দুই আসামির আপিলের নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন আদালত। আর মামলাটির মোট ৩০ আসামির মধ্যে ২ জন বিচারিক আদালতেই খালাস পেয়েছিলেন। বিচারিক আদালতে ফাঁসির দণ্ডাদেশ পাওয়ার পর মারা যাওয়ায় আল আমিন ও রতন ওরফে ছোট রতনের আপিলের নিষ্পত্তি করে দেন হাইকোর্ট। ৩০ আসামির বাকি দুজন কবির হোসেন ও আবু হায়দার ওরফে মিরপুরইয়া বাবু বিচারিক আদালত থেকেই খালাস পেয়েছিলেন।

এ মামলায় নূরুল ইসলাম সরকারসহ ২২ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ ও দুজনকে খালাস দিয়েছিলেন গাজীপুরের বিচারিক আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত ২৮ জনের মধ্যে দুজন মারা যাওয়ায় তাদের আপিলের নিষ্পত্তি করে ২৬ জনের বিষয়ে রায় দেন হাইকোর্ট। 

২০০৪ সালের ৭ মে গাজীপুরের টঙ্গীর নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় আহসান উল্লাহ মাস্টারকে গুলি করে হত্যা করেন সন্ত্রাসীরা। ঘটনার পরদিন আহসান উল্লাহ মাস্টারের ভাই মতিউর রহমান টঙ্গী থানায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।