নুহাশপল্লী লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
নুহাশপল্লী লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই, ২০১৬

কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ স্মরণে জাদুঘর হবে

হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে নুহাশপল্লীতে নানা আয়োজন


এবিসি নিউজ
গাজীপুর

জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের চতুর্থ মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে গাজীপুর সদরের পিরোজ আলী গ্রামে নুহাশপল্লীতে দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে।

নুহাশপল্লীর ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম বুলবুল জানান, মঙ্গলবার সারাদিনের অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে কবর জিয়ারত, মিলাদ ও দোয়া-মাহফিল, এতিম ভোজ প্রভৃতি।

বেলা ১০টায় জনপ্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদের কবর জিয়ারত করেন তার ছোট দুই ভাই অধ্যাপক জাফর ইকবাল, আহসান হাবীব এবং তাদের তিন বোন।

কবর জিয়ারত শেষে হুমায়ূন আহমেদের ছোট ভাই আহসান হাবীব সাংবাদিকদের বলেন, “হুমায়ূন আহমেদ স্মরণে নুহাশপল্লী ছাড়াও অন্যত্র পারিবারিকভাবে মিউজিয়াম (জাদুঘর) করার ইচ্ছা আছে।”

এরপর হুমায়ূন আহমদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন দুই ছেলে নিষাদ ও নিনিতকে নিয়ে শ্রদ্ধা জানান লেখকের কবরে।

নুহাশপল্লীর ভাস্কর মো. আসাদুজ্জামান জানান, লেখকের মৃত্যুবার্ষিক উপলক্ষে তার স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন সিঙ্গাপুর থেকে আনা মেটালের তৈরি ‘উপুড় হয়ে শুয়ে বই পাঠরত এক নারীর মূর্তি’ নুহাশ পল্লীতে স্থাপন করবেন।মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে শাওন ঢাকা থেকে দুই ছেলে নিশাদ ও নিনিদসহ সোমবার রাত ১০টার দিকে নুহাশপল্লীতে এসে অবস্থান করছেন বলে তিনি জানান।

মলাশয়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘ নয় মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর ২০১২ সালের ১৯ জুলাই-এ স্থানীয় সময় ১১:২০ মিনিটে নিউ ইয়র্কের বেলেভ্যু হসপিটালে এই নন্দিত লেখক মৃত্যুবরণ করেন। ২৪ জুলাই তার লাশ নিজের গড়া নুহাশ পল্লীর লিচুতলায় দাফন করা হয়।

জনপ্রিয় এই লেখক হুমায়ূন আহমেদ ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দের ১৩ই নভেম্বর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ময়মনসিংহ জেলার অন্তর্গত নেত্রকোণা মহুকুমার কেন্দুয়ার কুতুবপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা শহিদ ফয়জুর রহমান আহমদ এবং মা আয়েশা ফয়েজ। তাঁর পিতা একজন পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন এবং তিনি ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তৎকালীন পিরোজপুর মহকুমার এসডিপিও (ইংরেজী: SDPO - Sub-Divisional Police Officer) হিসেবে কর্তব্যরত অবস্থায় শহীদ হন।