বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

শনিবার, ৯ জুলাই, ২০১৬

ঈদের ছুটিতে উপচেপড়া ভিড় বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে


স্টাফ রিপোর্টার

এবার ঈদের ছুটিতে, ঈদের দ্বিতীয় দিন হাজার হাজার দর্শনার্থীর ভিড়ে মুখরিত ছিল গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক।কিন্তু গাড়ি, জনবল ও মোবাইল নেটওয়ার্কিংয়ের অভাবে দর্শনার্থীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।

পার্কের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক শিব প্রসাদ ভট্টাচর্য বলেন, ঈদের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার দর্শনার্থী সাফারি পার্কে আসেন। অধিকাংশ দর্শনার্থী কোর সাফারি পার্কে যেতে আগ্রহী।

কোর সাফারি পার্কে বাঘ, সিংহ, ভালুক, হরিণ, জেব্রা, জিরাফ, হাতি ইত্যাদি আলাদা আলাদা সীমানা প্রাচীরের ভেতর উন্মুক্তভাবে বিচরণ করে। এসব প্রাণী দেখতে দর্শনার্থীদের পার্কের নির্ধারিত মিনিবাস / গাড়িতে চড়ে যেতে হয়।

শিব প্রসাদ বলেন, কিন্তু দর্শনার্থীদের তুলনায় ওই গাড়ির সংখ্যা খুবই অপ্রতুল। পার্কে এখন দর্শনার্থীদের জন্য ২৮ আসনের পাঁচটি মিনিবাস রয়েছে। বর্তমানে ওই সংখ্যা কমপক্ষে দ্বিগুণ করা দরকার। পরিবহন সংকটের কারণে সাফারি পার্কের একাংশ দেখতেই অনেককে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় বলে জানান তিনি। 

সাফারি কিংডমে রয়েছে ময়ূর, ধনেশ, ক্রাউন্ট ফিজেন্টসহ দেশি-বিদেশি নানা জাতের পাখির পাখিশালা, প্রজাপতি কর্ণার, কচ্ছপ প্রজনন কেন্দ্র, ইমু গার্ডেন, ময়ুর / মেকাউ ওপেন ল্যান্ড, লেক জোন ও কুমির পার্ক। বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর নৈপূণ্য ও খেলাধুলা দেখতে ভিড় জমায় হাজার হাজার দর্শনার্থী। পর্যক্ষেণ টাওয়ারে উঠে দর্শণার্থীরা সুবিশাল সবুজ প্রকৃতি দেখতেও ভিড় জমায়।


পার্কের এতসব আয়োজন দেখভালের জন্য রয়েছেন মাত্র ৪৭ জন কর্মচারী, যা প্রয়োজনের তুলনায় খুব কম বলে কর্তৃপক্ষের দাবি। ২০১৫ সালে লোকবল চেয়ে পার্কের প্রকল্প কর্মকর্তা তপন কুমার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা করেছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত লোকবল নিয়োগ হয়নি বলে জানান শিব প্রসাদ ভট্টাচার্য। পার্কের এনিমেল কিপার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, পার্কে আসা হাজার হাজার দর্শনর্থীর নিরাপত্তার জন্য এখানে স্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করা জরুরি। তাছাড়া এখানকার গভীর বনাঞ্চলে মোবাইল নেটওয়ার্ক খুব দুর্বল। ফলে দর্শনার্থী ও পার্কের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাইরে যোগাযোগ করতে খুবই বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইন্দ্রপুর এলাকায় শাল-গজারীপূর্ণ তিন হাজার ৬৯০ একরে প্রতিষ্ঠিত এ পার্কটি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালের ৩১ অক্টোবর এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।