বারি লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
বারি লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বৃহস্পতিবার, ১৪ জুলাই, ২০১৬

কৃষি ও ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে জঙ্গিবাদ বিরোধী সমাবেশ

বক্তব্য রাখছেন ব্রি মহাপরিচালক ড. ভাগ্য রাণী বনিক
এবিসি নিউজ
জয়দেবপুর, গাজীপুর

জয়দেবপুরে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বারি) জঙ্গিবাদ বিরোধী পৃথক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত ওই সমাবেশ দুটিতে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও শ্রমিকরা অংশ নিয়েছেন।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) অডিটরিয়ামে আজ বৃহস্পতিবার সকালে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক ড. ভাগ্য রাণী বনিক।

এতে বক্তব্য রাখেন, সাবেক মহাপরিচালক ড. জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস, পরিচালক (প্রশাসন) ড. শাহজাহান কবির, পরিচালক (গবেষণা) ড. মো: আনসার আলী, বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের কেন্দ্রীয় মহাসচিব কৃষিবিদ মোঃ মোবারক আলী, সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সমীর চন্দ্র, ঢাকা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক ড. তাসাদ্দিকুর রহমান সনেট, গাজীপুর জেলা শাখার সভাপতি কৃষ্ণপদ হালদার প্রমুখ। বক্তারা ব্রি’তে জঙ্গিবাদ বিরোধী একটি কমিটি গঠন করার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানান।


এদিকে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি)তেও একই ধরনের সমাবেশ করেছে ওই প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও শ্রমিকরা। কাজী বদরুদ্দোজা অডিটরিয়ামে দুপুরে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক ড. রফিকুল ইসলাম মন্ডল।

এতে বক্তব্য রাখেন, বারি বিজ্ঞানী সমিতির সভাপতি ড. আক্কাস আলী, সাধারণ সম্পাদক ড. শহীদুজ্জামান, বারি কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক এহসান মাহমুদ রানা, বারি কর্মচারী সমিতির সভাপতি মহসিন খান, ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের সহ-সভাপতি ফকির মো. বেলায়েত হোসেন, বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের কেন্দ্রীয় মহাসচিব কৃষিবিদ মো: মোবারক আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক খায়রুল আলম প্রিন্স, সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সমীর চন্দ্র চন্দ, কৃষি , শিল্প ও বাণিজ্যিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক ড. তাসাদ্দিকুর রহমান সনেট প্রমুখ।

রবিবার, ১০ জুলাই, ২০১৬

কৃষি শ্রমিকদের কাছ থেকে শ্রমিক নেতাদের চাঁদাবাজি - ১


বিশেষ প্রতিনিধি

কৃষি সেক্টরের শ্রমিকদের কাছ থেকে শ্রমিক নেতারা বছরে কোটি কোটি টাকার চাঁদা আদায় করে থাকেন। এবার বেতন বাড়ায় নিরীহ শ্রমিকদের কাছ থেকে শ্রমিক নেতারা ১২ কোটি টাকা করে আদায়ের টার্গেট নিয়ে জোর-জুলুম ও নির্যাতন শুরু করেছেন।

সম্প্রতি কৃষি সেক্টরের মাস্টাররোল নিয়মিত ও অনিয়মিত শ্রমিকদের বেতন বাড়ানো হয়েছে। নেতারা জোর প্রচার দিচ্ছেন যে, এবারও শ্রমিকদের বেতন বাড়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এবং সরকারের কোন ভূমিকাই নেই। ওইসব শ্রমিক নেতারা নিজেরা আন্দোলন ও চেষ্টা-তদবির করে বেতন বাড়িয়েছেন- সুতরাং তাদেরকে টাকা দিতে হবে। এবং তারা শ্রমিকপ্রতি দুই হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করছেন।

গত ১০ বছরের ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, কৃষি সেক্টরের বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে মাস্টাররোল নিয়মিত ও অনিয়মিত ৬০ হাজারেরও বেশি শ্রমিক রয়েছেন।
শ্রমিক নেতারা সাধারণ শ্রমিকদের কাছ থেকে প্রতি বছর জনপ্রতি এক হাজার টাকা হরে ছয় কোটি টাকারও বেশি এবং যেবছর বেতন বাড়ানো হয় সেই বছর জনপ্রতি দুই হাজার টাকা হারে ১২ কোটিরও বেশি টাকার চাঁদা আদায় করে থাকেন।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) ঘটনা পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে- প্রতি বছর ঢাকায় সম্মেলনের কথা বলে নেতারা জনপ্রতি এক হাজার টাকা এবং কোন কোন বছর তারও বেশি টাকার চাঁদা আদায় করে থাকেন। সরকারি কাজ বন্ধ রেখে শ্রমিকদের ঢাকার সম্মেলনে যেতে বাধ্য করেন। এদের হাত থেকে অন্তসত্বা মহিলা শ্রমিকরাও রেহাই পান না।

বারি’র প্রতিটি বিভাগ ও শাখায় নেতাদের চাঁদা আদায়কারী এজেন্ট রয়েছেন। বারি’র উদ্যান তত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রে নেতাদের পক্ষে সবজি বিভাগের শ্রমিক বকুল ও কাসেম। সাধারণ শ্রমিকদের দেখা মাত্র তারা চাঁদা আদায়ের জন্য জোর-জুলুম ও অপমান-অপদস্ত করছেন।
বারি’র বেতন দেওয়া হয় এর অভ্যন্তরে অবস্থিত সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে। বেতন তোলার দিন  শ্রমিক নেতা ও ওইসব চাঁদা আদায়কারী এজেন্টরা ব্যাংকের ভিতরে অবস্থান নিয়ে সাধারণ শ্রমিকদের বেতন তোলা মাত্র চাঁদার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে থাকেন। এতবছরের ঘটনা বারি প্রশাসন জানেন না - তা হতেই পারে না! বরং এসব চাঁদাবাজি ও নির্যাতনে বারি প্রশাসন একপ্রকার সমর্থন দিয়ে থাকেন। যেমন- শ্রমিকদের বেতন বাড়ানো হলে কর্তৃপক্ষ বাড়তি টাকা দিতে দেরি করে শ্রমিক নেতাদেরকে মিছিল-মিটিং আন্দোলন করার সুযোগ দিয়ে থাকেন। শ্রমিক নেতারা প্রচার দেন যে- তাদের আন্দোলনের ফলেই বাড়তি বেতন পাওয়া যাবে এবং তাদেরকে টাকা চাঁদা দিতে হবে। পরে নতুন বেতন দেওয়া হলে নেতাদের দাবি একপ্রকার বৈধতা পায়। এভাবেই বছরের পর বছর চলছে কৃষি সেক্টরে শ্রমিক নেতাদের চাঁদাবাজি।

চাঁদাআদায়কারী নেতা; বারি’র শ্রমিক লেহাজ উদ্দিন লাহন ও লেহাজ উদ্দিন নিজেদের নির্ধারিত সরকারি কাজ না করে সুটেড-বুটেড হয়ে শ্রমিক ক্লাবে আড্ডা দেন, ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে ঘুরে বেড়ান- আর কর্মকর্তাদের সঙ্গে মিটিং করে সময় কাটান। একপ্রকার বসে বসে বেতন নেন।

বারি কর্তৃপক্ষ এসবের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ায় এরা দুঃসাহসী হয়ে উঠছেন।

সর্বোচ্চ শিক্ষিত ও একসঙ্গে সর্বাধিক সংখ্যক বিজ্ঞানীদের নাকের ডগায় চলমান এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এঁদের ইতিহাস পরবর্তী প্রজন্মের কাছে কিভাবে উপস্থাপন হবে?

সোমবার, ৪ জুলাই, ২০১৬

গুলশানে নিহত ইশরাতকে গাজীপুরে দাফন


স্টাফ রিপোর্টার

রাজধানীর গুলশানের স্প্যানিশ রেস্তোরাঁ হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত ইশরাত আকন্দকে গাজীপুরে দাফন করা হয়েছে। আজ সোমবার বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এলাকায় অবস্থিত একটি কবরস্থানে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়।

ইশরাত আকন্দ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজেএমইএ) সাবেক উপদেষ্টা ছিলেন। তাঁর ভাই ইউসুফ আকন্দ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বায়োটেকনোলজি বিভাগের সায়েন্টিফিক কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। এ কারণেই ইশরাতকে এখানে দাফন করা হয়েছে বলে পুলিশ ও তাঁর স্বজনরা জানিয়েছেন।

এর আগে আজ বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা থেকে ইশরাতের মরদেহ একটি লাশবাহী গাড়িতে করে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট পৌঁছায়। সেখানকার মসজিদে জানাজা হয়। জানাজায় ইশরাত আকন্দের মামা বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ সাজ্জাদুল হাসান, ভাই ইউসুফ আকন্দ ও আলী হায়াৎ আকন্দ, গাজীপুর জেলা প্রশাসন ও কৃষি গবেষণার কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।

গত শুক্রবার হলি আর্টিজানে সন্ত্রাসীদের হামলা ও জিম্মি ঘটনায় নিহত হন ইশরাত। পরদিন শনিবার ওই রেস্তোরাঁ থেকে ২০ জনের মরদেহ উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এর মধ্যে তিনজন ছিলেন বাংলাদেশের নাগরিক। এঁদেরই একজন ইশরাত।

ইশরাত ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান পরিচালনাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। তিনি দেশের বৃহত্তম টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোনেও একসময় কাজ করতেন।