সবিশেষ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
সবিশেষ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

মঙ্গলবার, ২৮ মে, ২০১৯

অর্থলোভী স্ত্রীর ফাঁদে স্বামীর পরিবার মামলায় জর্জরিত


স্টাফ রিপোর্টার

তরুণীর প্রেমের ফাঁদে পড়ে বিয়ে করে ওই স্ত্রীর পিত্রালয়ের অর্থের চাহিদা মেটাতে নিঃশ^ হয়ে শেষ পর্যন্ত মামলার জালে জড়িয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন যুবক।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ২১নং ওয়ার্ডের বিপ্রবর্থা গ্রামের রুহুল আমিন ওরফে রিয়েল গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানার শ্রীপুর গ্রামের আপিয়া আক্তারের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। এর আগে তারা চার বছর প্রেম করেন। জানা গেছে, একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে আপিয়া রিয়েলকে দেখে মুগ্ধ হয়ে সম্পর্কের সূচনা করেন। কিন্তু প্রেম ও বিয়ের কোন বিষয়টিই মেনে নেননি আপিয়ার ভাই জাকির।

আপিয়া ও তার পিতা, মাতা, ভাই মিলে ফন্দি করে রিয়েলে কাছ থেকে কৌশলে ৪০ লাখ টাকা ঋণ হিসেবে নিয়ে আত্মসাৎ করার পায়তারা করছেন। আরো ৪০ লাখ টাকা এবং রিয়েলকে তালাক দিবে বলে বিয়ের দেনমোহরের ২০ লাখ টাকা অগ্রিম চেয়ে রিয়েলকে বিভিন্নভাবে হয়রানী ও নির্যাতন করছে। শেষ পর্যন্ত রিয়েলের পরিবারকে নিঃস্ব  করে পথে বসানোর জন্য গাজীপুর আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিয়ের পর রিয়েল ও আপিয়া পরিবার ঢাকার খিলক্ষেত এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করত। রিয়েল একটি ঔষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানে এইচআর এডমিন পদে সুনামের সঙ্গে চাকরি করত আর আপিয়া এইচএম শমরিতা হসপিটাল অ্যান্ড মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস কোর্সে পড়াশোনা করেন।

আপিয়ার মা প্রায়ই ঢাকায় জামাতার বাসায় মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে যেতেন। এবং তখন থেকেই একটি করে ঘটনা ঘটতে থাকত। রিয়েলের অনুমতি ছাড়া আপিয়ার একবার ৩ মাসের এবং একবার ৪ মাসের গর্ভপাত ঘটানো হয়। এক পর্যায়ে আপিয়া তার স্বামী রিয়েলের কাছ থেকে পিতার ব্যবসার জন্য কয়েকবারে ৪০ লাখ টাকা ঋণ নেন। রিয়েলের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যপ্রমাণ থেকে এসবের সত্যতা পাওয় গেছে।

আপিয়ার সঙ্গে এই প্রতিবেদক মোবাইল ফোনে কথোপকনের সময় প্রমাণ পেয়েছেন যে আপিয়া তার স্বামী রিয়েলের কাছে ৪০ লাখ টাকা চেয়েছেন। সকল আপকর্মে আপিয়াকে সঙ্গ দিয়েছেন আপিয়ার সহপাঠী ও বান্ধবী তামান্না আক্তার। একটি কথোপকনে রেকর্ড থেকে জানা গেছে, তামান্না রিয়েলের মোবাইল ফোনে ফোন করে আপিয়ার দেনমোহরের ২০ লাখ টাকা অগ্রিম চেয়ে হুমকি দিয়ে বলেছেন যে, অন্যথায় রিয়েলের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মিথ্যা মামলা দেওয়া হবে। এবং সেটাই হয়েছে।

অপর একটি রেকর্ড থেকে জানা গেছে, আপিয়ার ভাই জাকির রিয়েলের ক্ষতি করবে ও কখনোই সুখে থাকতে দিবে না।

একাধিক টেলিভিশন চ্যানেলে প্রতিবেদন প্রচারিত এবং তা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে চ্যাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে ভুক্তভোগি রিয়েল মিথ্যা মামলা, নির্যাতন ও হয়রানী থেকে মুক্ত হয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপনের প্রত্যাশা করছেন।

রবিবার, ১০ জুলাই, ২০১৬

কৃষি শ্রমিকদের কাছ থেকে শ্রমিক নেতাদের চাঁদাবাজি - ১


বিশেষ প্রতিনিধি

কৃষি সেক্টরের শ্রমিকদের কাছ থেকে শ্রমিক নেতারা বছরে কোটি কোটি টাকার চাঁদা আদায় করে থাকেন। এবার বেতন বাড়ায় নিরীহ শ্রমিকদের কাছ থেকে শ্রমিক নেতারা ১২ কোটি টাকা করে আদায়ের টার্গেট নিয়ে জোর-জুলুম ও নির্যাতন শুরু করেছেন।

সম্প্রতি কৃষি সেক্টরের মাস্টাররোল নিয়মিত ও অনিয়মিত শ্রমিকদের বেতন বাড়ানো হয়েছে। নেতারা জোর প্রচার দিচ্ছেন যে, এবারও শ্রমিকদের বেতন বাড়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এবং সরকারের কোন ভূমিকাই নেই। ওইসব শ্রমিক নেতারা নিজেরা আন্দোলন ও চেষ্টা-তদবির করে বেতন বাড়িয়েছেন- সুতরাং তাদেরকে টাকা দিতে হবে। এবং তারা শ্রমিকপ্রতি দুই হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করছেন।

গত ১০ বছরের ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, কৃষি সেক্টরের বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে মাস্টাররোল নিয়মিত ও অনিয়মিত ৬০ হাজারেরও বেশি শ্রমিক রয়েছেন।
শ্রমিক নেতারা সাধারণ শ্রমিকদের কাছ থেকে প্রতি বছর জনপ্রতি এক হাজার টাকা হরে ছয় কোটি টাকারও বেশি এবং যেবছর বেতন বাড়ানো হয় সেই বছর জনপ্রতি দুই হাজার টাকা হারে ১২ কোটিরও বেশি টাকার চাঁদা আদায় করে থাকেন।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) ঘটনা পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে- প্রতি বছর ঢাকায় সম্মেলনের কথা বলে নেতারা জনপ্রতি এক হাজার টাকা এবং কোন কোন বছর তারও বেশি টাকার চাঁদা আদায় করে থাকেন। সরকারি কাজ বন্ধ রেখে শ্রমিকদের ঢাকার সম্মেলনে যেতে বাধ্য করেন। এদের হাত থেকে অন্তসত্বা মহিলা শ্রমিকরাও রেহাই পান না।

বারি’র প্রতিটি বিভাগ ও শাখায় নেতাদের চাঁদা আদায়কারী এজেন্ট রয়েছেন। বারি’র উদ্যান তত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রে নেতাদের পক্ষে সবজি বিভাগের শ্রমিক বকুল ও কাসেম। সাধারণ শ্রমিকদের দেখা মাত্র তারা চাঁদা আদায়ের জন্য জোর-জুলুম ও অপমান-অপদস্ত করছেন।
বারি’র বেতন দেওয়া হয় এর অভ্যন্তরে অবস্থিত সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে। বেতন তোলার দিন  শ্রমিক নেতা ও ওইসব চাঁদা আদায়কারী এজেন্টরা ব্যাংকের ভিতরে অবস্থান নিয়ে সাধারণ শ্রমিকদের বেতন তোলা মাত্র চাঁদার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে থাকেন। এতবছরের ঘটনা বারি প্রশাসন জানেন না - তা হতেই পারে না! বরং এসব চাঁদাবাজি ও নির্যাতনে বারি প্রশাসন একপ্রকার সমর্থন দিয়ে থাকেন। যেমন- শ্রমিকদের বেতন বাড়ানো হলে কর্তৃপক্ষ বাড়তি টাকা দিতে দেরি করে শ্রমিক নেতাদেরকে মিছিল-মিটিং আন্দোলন করার সুযোগ দিয়ে থাকেন। শ্রমিক নেতারা প্রচার দেন যে- তাদের আন্দোলনের ফলেই বাড়তি বেতন পাওয়া যাবে এবং তাদেরকে টাকা চাঁদা দিতে হবে। পরে নতুন বেতন দেওয়া হলে নেতাদের দাবি একপ্রকার বৈধতা পায়। এভাবেই বছরের পর বছর চলছে কৃষি সেক্টরে শ্রমিক নেতাদের চাঁদাবাজি।

চাঁদাআদায়কারী নেতা; বারি’র শ্রমিক লেহাজ উদ্দিন লাহন ও লেহাজ উদ্দিন নিজেদের নির্ধারিত সরকারি কাজ না করে সুটেড-বুটেড হয়ে শ্রমিক ক্লাবে আড্ডা দেন, ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে ঘুরে বেড়ান- আর কর্মকর্তাদের সঙ্গে মিটিং করে সময় কাটান। একপ্রকার বসে বসে বেতন নেন।

বারি কর্তৃপক্ষ এসবের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ায় এরা দুঃসাহসী হয়ে উঠছেন।

সর্বোচ্চ শিক্ষিত ও একসঙ্গে সর্বাধিক সংখ্যক বিজ্ঞানীদের নাকের ডগায় চলমান এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এঁদের ইতিহাস পরবর্তী প্রজন্মের কাছে কিভাবে উপস্থাপন হবে?

বুধবার, ৮ জুলাই, ২০১৫

টেস্ট পোস্ট

প্রচ্ছদ কাপাশিয়া কালিগঞ্জ কালিয়াকৈর জয়দেবপুর টঙ্গী শ্রীপুর সবিশেষ