সোমবার, ২৫ জুলাই, ২০১৬

কোনাবাড়ি-কাশিমপুর সড়ক বেহাল, চরম দুর্ভোগে এলাকাবাসী


কোনাবাড়ি-কাশিমপুর সড়কের বেহাল অবস্থা
এবিসি নিউজ
জয়দেবপুর, গাজীপুর

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কোনাবাড়ি-কাশিমপুর সড়কটি বেহাল। কার্পেটিং উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় প্রায় তিন মাস ধরে সড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এখন হেঁটে চলাচল করাও অনুপযোগী হয়ে পড়েছে সড়কটি।

এলাকাবাসী ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কোনাবাড়ি থেকে কাশিমপুর পর্যন্ত অংশের দৈর্ঘ্য প্রায় ছয় কিলোমিটার। তিন-চার মাস আগে সড়কটির কোনাবাড়ি প্রান্ত থেকে সংস্কারকাজ শুরু হয়। এক কিলোমিটারের কম সড়কে আরসিসি ঢালাই দেওয়া হয়। সড়কের এক পাশে নালাও নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু সড়কের বাকি অংশের কাজ বন্ধ হয়ে আছে। এ অংশে অসংখ্য বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। গর্তগুলোতে পানি জমে আছে। এর ফলে সড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

এখন এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে যে, সড়কটিতে হেঁটেও চলাচল করতে পারছেন না মানুষ।

কাশিমপুর বাজারের ব্যবসায়ী সুলতান মিয়া বলেন, দোকানের মালামাল ক্রয় করতে প্রতিদিনই কোনাবাড়ি বাজারে যেতে হয়। রাস্তা বেহাল হওয়ায় বাড়তি চার-পাঁচ কিলোমিটার দূর ঘুরে কোনাবাড়ি যেতে হয়।

জরুনের কেয়া স্পিনিং কারখানার শ্রমিক সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন কারখানায় কাজে যেতে হয়। অথচ রাস্তায় বড় বড় গর্ত হওয়ায় এতে হাঁটা যায় না। বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়ে বেশি ভাড়া দিয়ে রিকশায় করে কাজে যেতে হয়।

রোববার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের আরসিসি ঢালাই করা অংশ চলাচলের জন্য এখনো খোলা হয়নি। এখন রাস্তার ওপর হাটবাজার বসছে। সড়কটির বাকি পাঁচ কিলোমিটার অংশেই বড় বড় গর্ত আছে। এসব গর্তে পানি জমে আছে। এলাকাবাসী ও স্থানীয় কারখানার শ্রমিকদের কাদাপানি মাড়িয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। কয়েকটি স্থানে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাকে বিকল হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়।

হরিণাচালা এলাকার বাসিন্দা মোনতাজ আলী বলেন, রাস্তা খারাপ থাকায় রিকশায় অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জানালেও কোনো কাজ হয় না।

স্কুলশিক্ষক রহিম সরকার বলেন, সড়কটির আশপাশে কয়েকটি কিন্ডারগার্টেন রয়েছে। এসব স্কুলে কয়েকশ ছেলেমেয়ে লেখাপড়া করেন। স্কুলে যাতায়াতের সময় শিশুদের জামাকাপড় কাদাপানিতে নষ্ট হয়ে যায়। তিনি অবিলম্বে রাস্তা সংস্কারের দাবি জানান।

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর মাহমুদা আক্তার বলেন, কোনাবাড়ি-কাশিমপুর সড়কের জরুন এলাকা থেকে তাঁর ওয়ার্ড শুরু হয়েছে। সেখান থেকে তাঁর পুরো এলাকার রাস্তাই খারাপ। মানুষ ঠিকমতো চলাচল করতে পারছেন না। এলাকার এখন প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে বেহাল রাস্তা।

সিটি কর্পোরেশনের জোন-৫-এর নির্বাহী প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

সিটি কর্পোরেশনের ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সেলিম রহমান বলেন, ওই সড়কের কিছু অংশে কাজ করা হয়েছে। বাকি অংশের কাজও পর্যায়ক্রমে করা হবে।
সংশ্লিষ্ট লিংকঃ