এম.এ মান্নান লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
এম.এ মান্নান লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বুধবার, ১৭ আগস্ট, ২০১৬

জামিনের পর ফের গ্রেপ্তার গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাময়িক বরখাস্তকৃত মেয়র


এবিসি নিউজ
গাজীপুর

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের (জিসিসি) সাময়িক বরখাস্তকৃত মেয়র  ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম এ মান্নানকে জয়দেবপুর থানার নাশকতার একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

বুধবার গাজীপুরের মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট) আদালতে শুনানি শেষে বিচারক এম এ মান্নানকে গ্রেপ্তারের আদেশ দেন।

এ নিয়ে মান্নানের বিরুদ্ধে ২৬টি মামলা হয়েছে। আদালত থেকে ২৫ মামলায় তিনি এরই মধ্যে জামিন পেয়েছেন। সর্বশেষ দুদকের দায়ের করা মামলায় গতকাল হাইকোর্ট বিভাগ থেকে জামিন পান তিনি। এর পরপরই একই দিন তাঁকে আরেকটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো।

গাজীপুর আদালতের পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) মো. রবিউল ইসলাম জানান, বিএনপি-জামায়াতের অবরোধ চলাকালে নাশকতা সৃষ্টির জন্য বাস-ট্রাকে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে জানমালের ক্ষতিসাধনের জন্য গত বছরের ২৭ জানুয়ারি বিকেলে গাজীপুর মহানগরের ভুরুলিয়া এলাকায় গোপন বৈঠক করছিলেন জামায়াত-বিএনপির নেতাকর্মীরা। ওই খবরের ভিত্তিতে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে জেলা জামায়াতের আমির আবুল হাশেম ও মহানগর জামায়াতের অর্থবিষয়ক সম্পাদক নাসরুল্লাহকে ১০টি পেট্রলবোমাসহ আটক করলেও অন্যরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় উপপরিদর্শক (এসআই) মনির হোসেন বাদী হয়ে জামায়াত-বিএনপির ১০ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ১০-১৫ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে জয়দেবপুর থানায় মামলা করেন।

পরে মামলার তদন্তকালে ওই ঘটনার সঙ্গে অধ্যাপক এম এ মান্নানের বিরুদ্ধে জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া যায়। এসব তথ্যের ভিত্তিতে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জহিরুল ইসলাম ওই মামলায় তাঁকে (এম এ মান্নান) গ্রেপ্তারের  জন্য বুধবার আদালতে আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিকেলে শুনানি শেষে গাজীপুরের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক আবদুল হাই ওই আবেদন মঞ্জুর করে এম এ মান্নানকে গ্রেপ্তার দেখান (শ্যোন অ্যারেস্ট)।

অধ্যাপক এম এ মান্নানের আইনজীবী মঞ্জুর মোর্শেদ প্রিন্স জানান, সর্বশেষ বুধবার হাইকোর্ট থেকে জয়দেবপুর থানায় দায়ের করা দুদকের একটি মামলায় জামিন লাভ করেন অধ্যাপক এম এ মান্নান। এরপর বুধবারই তাঁকে জয়দেবপুর থানার আরো একটি নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো।  

অধ্যাপক এম এ মান্নানকে গাজীপুরে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১-এ রাখা হয়েছে। তিনি বিএনপির সদ্যঘোষিত জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনীত হয়েছেন।

গত বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে গাজীপুরে যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা হামলার মামলায় একই বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় রাজধানী ঢাকার বারিধারার ডিওএইচএসের নিজ বাসা থেকে অধ্যাপক এম এ মান্নানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মোট ২২টি মামলায় ১৩ মাস কারাগারে থাকার পর গত ২ মার্চ তিনি জামিনে কারামুক্ত হন।

গত বছরের ১৯ আগস্ট অধ্যাপক এম এ মান্নানকে বরখাস্তের আদেশ দেওয়া হয়। এরপর তাঁর অবর্তমানে একই বছরের ৮ মার্চ থেকে প্যানেল মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন।

মেয়র মান্নানের জামিন, মুক্তিতে বাধা নেই


এবিসি নিউজ
গাজীপুর

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাময়িকভাবে বরখাস্ত মেয়র এম এ মান্নানকে তিন মাসের জামিন দিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ।একইসঙ্গে তাকে কেন স্থায়ী জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে চার সপ্তাহের রুলও জারি করেছেন আদালত। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের ডিভিশন বেঞ্চ আজ বুধবার এ আদেশ দেন।

আদালতে মেয়র মান্নানের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মাসুদ রানা ও আবু হানিফ। অপরদিকে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন খুরশীদ আলম খান।

চলতি বছরের জুন মাসে সিটি কর্পোরেশনের আয়-ব্যয় সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে জয়দেবপুর থানায় মামলা করেন দুর্নীতি দমন কমিশন। এই মামলায় তিনি জামিন চেয়ে হাইকোর্ট বিভাগে আবেদন করলে শুনানি শেষে হাইকোর্ট বিভাগ তার জামিন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন। তার বিরুদ্ধে মোট ২৯ মামলার সবকটিতে জামিন পাওয়ায় এখন আর মুক্তিতে তার কোন বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবী মাসুদ রানা।

সিটি করপোরেশনের ত্রাণ ও দরিদ্র তহবিলে ১ কোটি ৩ লাখ ৮ হাজার ১৩২ টাকা আয় হয়। এর মধ্যে ৯০ লাখ ৪৭ হাজার ৮৪৬ হজার টাকা ব্যয় করা হয়। ব্যাংক হিসেবের মাধ্যমে যথাযথভাবে এই ব্যয় করা হয়নি বলে গত ১৩ জুন দুদকের উপ-পরিচালক সামছুল আলম জয়দেবপুর থানায় এ মামলা দায়ের করেন।

কারাগারে থাকা অবস্থায় ওই মামলায় ১৯ জুন মেয়র মান্নানকে গ্রেফতার দেখানো হয়। ২০১৫ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মেয়র মান্নান প্রথম দফায় গ্রেফতার হন। পরে তাকে ২২টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। সেসব মামলায় হাইকোর্ট বিভাগ থেকে জামিন লাভের পর চলতি বছর ২ মার্চ তিনি জামিনে মুক্তি পান। মুক্তি পাওয়ার পর ১৫ এপ্রিল তাকে পুনরায় গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

রবিবার, ১২ জুন, ২০১৬

ত্রাণ তহবিল আত্মসাতের অভিযোগে গাজীপুর সিটি মেয়রের বিরুদ্ধে মামলা করছে দুদক


স্টাফ রিপোর্টার

ত্রাণ তহবিলের প্রায় অর্ধ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে মামলা করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার (১২ জুন) কমিশন থেকে মামলাটি অনুমোদন দেওয়া হয় বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য।

৯৯৯টি ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ওই টাকা আত্মসাৎ হয় এমন অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় মেয়র ও হিসাব রক্ষক কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে।

দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা ও উপ-পরিচালক সামছুল আলম শিগগির মামলাটি দায়ের করবেন বলে প্রণব কুমার জানিয়েছেন।

দুদক সূত্র জানায়, মেয়র আব্দুল মান্নান ও গোলাম কিবরিয়ার পরস্পর যোগসাজশে ২০১৩ সালের ১৮ আগস্ট থেকে ২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সময় পর্যন্ত কর্পোরেশনের ত্রাণ ও দরিদ্র তহবিলের ৪৯ লাখ ১ হাজার ৮৪৮ টাকা আত্মসাৎ করেন।

অভিযোগটি দুদকের অনুসন্ধানেও প্রমাণিত হওয়ায় কমিশন ৪০৯/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলা দায়ের করার জন্য অনুমতি প্রদান করে।