অন্যদের টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ
এবিসি নিউজ
কালীগঞ্জ, গাজীপুর
কালীগঞ্জের বক্তারপুর এলাকায় সাদাপোশাকধারী পুলিশের ধাওয়ায় পানিতে ডুবে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। শনিবার দুপুরে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। একই ঘটনায় পুলিশ তিন ব্যক্তিকে আটক করার পর ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নিহত সোলাইমান (৫০) কালীগঞ্জের বক্তরপুর ইউনিয়নের গোয়ালীয়াবাড়ী রয়েন গ্রামের মৃত হাসিম উদ্দিন হাসুর ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহত ব্যক্তির পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার ফালাইনা মিয়ার টেকের একটি ঝোপের পাশে বসে সোলাইমান ছাড়াও এলাকার সারোয়ার হোসেন, তালু মিয়া, লিটন ও তাইজুল জুয়া খেলছিলেন। ওই সময় সাদাপোশাকে দুই-তিনজনকে সঙ্গে নিয়ে থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবদুল হক সেখানে অভিযান চালান।
একপর্যায়ে ওই পুলিশ কর্মকর্তা ধাওয়া করে তালু মিয়া (৫০), লিটন (৪০) ও তাইজুল ইসলামকে (৫৫) আটক করেন। তবে সারোয়ার ও সোলাইমান পাশের নাওয়ানের বিলে ঝাঁপ দেন। সারোয়ার সাঁতরে ডাঙায় উঠলেও সোলাইমান নিখোঁজ হন। ওই দিন রাত পর্যন্ত খোঁজ করেও তাঁর সন্ধান মেলেনি। শনিবার দুপুরে বিলে তাঁর লাশ ভেসে উঠলে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেন। পরে কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. হাবিবুর রহমান লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
লিটন ও তাইজুলের পরিবারের লোকজন সাংবাদিকদের বলেন, তিনজনকে আটক করে গাড়িতে (লেগুনা) করে বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করেন পরিদর্শক আবদুল হক। পরে কালীগঞ্জের জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের দেওতলা মোড়ে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে তিনজনকে ছাড়িয়ে আনেন তাঁদের পরিবার।
জানতে চাইলে থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবদুল হক বলেন, সোলাইমান মাছ ধরতে গিয়ে ডুবে মারা যান। আর জুয়া না খেলার শর্তে আটক ব্যক্তিদের এমনিতেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলম চাঁদ বলেন, পুলিশের ধাওয়া খেয়ে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।