ফাইল ফটো |
এবিসি নিউজ
গাজীপুর
গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় স্বেচ্ছায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করছেন গ্রাহকরা।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ অভিযান শুরু এবং জেল-জরিমানা করার ঘোষণায় গ্রাহকরা স্বেচ্ছায় এ কাজ করছেন।
বৃহস্পতিবার তিতাস গ্যাস কোম্পানির গাজীপুরের চন্দ্রা আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহযোগিতায় কালিয়াকৈরের আন্ধারমানিক এলাকায় সহস্রাধিক অবৈধ গ্যাস সংযোগ খুলে নেন গ্রাহকরা।
এ ছাড়া জেলার বোর্ডবাজার, গাছা, হাড়িনালসহ বিভিন্ন এলাকার স্বেচ্ছায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার খবর পাওয়া গেছে।
গাজীপুর জেলার বিভিন্ন স্থানের লোকজন গত ক’বছর ধরে অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ নিয়ে ব্যবহার করে আসছিলেন। তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে অবৈধভাবে স্থাপিত গ্যাসলাইন অপসারণ ও সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।
এদিকে তিতাস কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি মাইকিং করে স্বেচ্ছায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে বলেন। অন্যথায় জেল-জরিমানা করার ঘোষণা দিলে লোকজন অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা শুরু করেন।
তিতাস গ্যাসের চন্দ্রা আঞ্চলিক কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী সুরুজ আলম জানান, স্বেচ্ছায় অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য হেড অফিস থেকে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন এবং আমরা এলাকায় মাইকিং করেছিলাম। এর পরিপ্রেক্ষিতে এলাকার লোকজন অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদ করতে যোগাযোগ করেন। পরে আন্ধারমানিক এলাকার তিনটি পয়েন্টে প্রায় এক হাজার অবৈধ আবাসিক গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
তিতাস গ্যাসের গাজীপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী ছাব্বের আহমেদ চৌধুরী জানান, আমাদের ঘোষণা ছিল সাঁড়াশি অভিযান চালাব। গ্যাস আইন অনুযায়ী জেল-জরিমানা করা হবে। যারা যারা অবৈধ সংযোগ বসিয়েছেন নিজ দায়িত্বে লাইনগুলো ফেরত দিয়ে দেন।
তিনি জানান, আমাদের পরিচালিত মোবাইল কোর্টের অভিযানের সময় অবৈধ সংযোগ ধরা পড়লে অন দ্য স্পটে সাজা দেওয়া হবে। আর যদি কেউ স্বেচ্ছায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে জমা দিয়ে দেয় তবে তার বিরুদ্ধে কোনো শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে না।