স্টাফ রিপোর্টার
তরুণীর প্রেমের ফাঁদে পড়ে বিয়ে করে ওই স্ত্রীর পিত্রালয়ের অর্থের চাহিদা মেটাতে নিঃশ^ হয়ে শেষ পর্যন্ত মামলার জালে জড়িয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন যুবক।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ২১নং ওয়ার্ডের বিপ্রবর্থা গ্রামের রুহুল আমিন ওরফে রিয়েল গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানার শ্রীপুর গ্রামের আপিয়া আক্তারের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। এর আগে তারা চার বছর প্রেম করেন। জানা গেছে, একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে আপিয়া রিয়েলকে দেখে মুগ্ধ হয়ে সম্পর্কের সূচনা করেন। কিন্তু প্রেম ও বিয়ের কোন বিষয়টিই মেনে নেননি আপিয়ার ভাই জাকির।
আপিয়া ও তার পিতা, মাতা, ভাই মিলে ফন্দি করে রিয়েলে কাছ থেকে কৌশলে ৪০ লাখ টাকা ঋণ হিসেবে নিয়ে আত্মসাৎ করার পায়তারা করছেন। আরো ৪০ লাখ টাকা এবং রিয়েলকে তালাক দিবে বলে বিয়ের দেনমোহরের ২০ লাখ টাকা অগ্রিম চেয়ে রিয়েলকে বিভিন্নভাবে হয়রানী ও নির্যাতন করছে। শেষ পর্যন্ত রিয়েলের পরিবারকে নিঃস্ব করে পথে বসানোর জন্য গাজীপুর আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিয়ের পর রিয়েল ও আপিয়া পরিবার ঢাকার খিলক্ষেত এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করত। রিয়েল একটি ঔষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানে এইচআর এডমিন পদে সুনামের সঙ্গে চাকরি করত আর আপিয়া এইচএম শমরিতা হসপিটাল অ্যান্ড মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস কোর্সে পড়াশোনা করেন।
আপিয়ার মা প্রায়ই ঢাকায় জামাতার বাসায় মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে যেতেন। এবং তখন থেকেই একটি করে ঘটনা ঘটতে থাকত। রিয়েলের অনুমতি ছাড়া আপিয়ার একবার ৩ মাসের এবং একবার ৪ মাসের গর্ভপাত ঘটানো হয়। এক পর্যায়ে আপিয়া তার স্বামী রিয়েলের কাছ থেকে পিতার ব্যবসার জন্য কয়েকবারে ৪০ লাখ টাকা ঋণ নেন। রিয়েলের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যপ্রমাণ থেকে এসবের সত্যতা পাওয় গেছে।
আপিয়ার সঙ্গে এই প্রতিবেদক মোবাইল ফোনে কথোপকনের সময় প্রমাণ পেয়েছেন যে আপিয়া তার স্বামী রিয়েলের কাছে ৪০ লাখ টাকা চেয়েছেন। সকল আপকর্মে আপিয়াকে সঙ্গ দিয়েছেন আপিয়ার সহপাঠী ও বান্ধবী তামান্না আক্তার। একটি কথোপকনে রেকর্ড থেকে জানা গেছে, তামান্না রিয়েলের মোবাইল ফোনে ফোন করে আপিয়ার দেনমোহরের ২০ লাখ টাকা অগ্রিম চেয়ে হুমকি দিয়ে বলেছেন যে, অন্যথায় রিয়েলের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মিথ্যা মামলা দেওয়া হবে। এবং সেটাই হয়েছে।
অপর একটি রেকর্ড থেকে জানা গেছে, আপিয়ার ভাই জাকির রিয়েলের ক্ষতি করবে ও কখনোই সুখে থাকতে দিবে না।
একাধিক টেলিভিশন চ্যানেলে প্রতিবেদন প্রচারিত এবং তা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে চ্যাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে ভুক্তভোগি রিয়েল মিথ্যা মামলা, নির্যাতন ও হয়রানী থেকে মুক্ত হয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপনের প্রত্যাশা করছেন।